কদমতলা ব্লকের সরসপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ভুয়া চিকিৎসকের চিকিৎসায় এক যুবকের আশঙ্কাজনক অসুস্থতা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সরসপুরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সন্তোষ নাথ রবিবার সন্ধ্যায় তীব্র পেটব্যথায় আক্রান্ত হন। পরে তিনি চিকিৎসার জন্য যান কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা করুণা নাথের কাছে, যিনি এলাকায় “হাতুড়ে ডাক্তার” নামে পরিচিত। তাঁর বাড়ির পাশেই রয়েছে একটি ফার্মেসি।
অভিযোগ, করুণা নাথ ওই সময় সন্তোষ নাথকে একটি ইনজেকশন দেন। এরপর কিছুক্ষণ পরেই সন্তোষের শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে। তড়িঘড়ি করে তাঁকে প্রথমে কদমতলা সমাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় তাঁকে পুনরায় ফিরিয়ে আনা হয় কদমতলায়।
এরপর সন্তোষের পরিবার করুণা নাথের কাছে সাহায্য চাইলে তিনি ও তাঁর পরিবার তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয়রা। প্রায় দুই শতাধিক মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন।
খবর পেয়ে কদমতলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন যুবক সন্তোষ নাথ।
পরিবারের পক্ষ থেকে করুণা নাথের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কদমতলা থানায়। এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
স্থান: কদমতলা, উত্তর ত্রিপুরা